সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের প্রভাব

সামরিক ও  বেসামরিক আমলাতন্ত্রের প্রভাব বলতে ও বিভাগগুলোতে প্রশাস নিক ক্ষমতার সম্পৃক্ততা ও কেন্দ্রীকরণ এবং রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের একটি আর বহির্ভূক্ত বিষয় সমূহের সরকারি কর্মচারীদের গৃহীত অন্যায় হস্তক্ষেপ বোঝায়। যদিও ইউরোপে অন্যতম চোখ বলতে স্থায়ী সরকারি কর্মচারীগণকে বোঝানো হয়। এবং আমরা বলতে জ্ঞান অভিজ্ঞতা ও দায়িত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের প্রভাব

যদিও ইউরোপের আমলাতন্ত্র বলতে স্থায়ী সরকারি কর্মচারীগণকে বোঝানো হয়েছে এবং আমলা বলতে জ্ঞান অভিজ্ঞতা ও দায়িত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি বিশেষ কে চিহ্নিত করা হয় John A Veig এর মতে কোন সংগঠন স্থায়ী কার্যক্রম পরিচালনা উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

 সূচিপত্রঃ সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের প্রভাব সমৃহ

সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের প্রভাব

প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত অধিকাংশ সময় জুড়ে অবস্থান ছিল। সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণে এ পর্যন্ত সামরিক আইন জারির পূর্বে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর অধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবর জাতীয় সামরিক প্রশাসনের সহায়তায় গানের জন্য বেশ কয়েকবার সেনাবাহিনী অথবা তলপ করা হয়েছিল তবে সাময়িক ভাবে দেশের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় সামরিক শাসন এ সময় দেশে বিশেষ করে পাকিস্তানের অর্থনীতি রাজনৈতিক প্রেসিডেন্ট জারি করে। শাসনতন্ত্র জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভা মন্ত্রী পরিষদ বাতিল এবং সকলের সকল রাজনীতির দল বিশিষ্ট ঘোষণা করেন।

আরোও পড়ুনঃ মোহাম্মদ আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করেন

 সেই সাথে তিনি প্রধান জেনারেল মোঃ আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করেন। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য তিনি সাতাশে অক্টোবর প্রেসিডেন্ট নির্যাতকে উৎখাত করে তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেন। ২৮ অক্টোবর তিনি সামরিক আইন বদ বিলুপ্ত করে নিজে হাতে হারে দেশের প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধান ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হয়ে দেশ চালাতে থাকেন পাকিস্তানের সামরিক শাসনের প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর যৌথ কারবার বলে আখ্যায়িত করেছেন যৌথ কারবার চরম উৎকর্ষতা লাভ করে সামরিক শাসন আমলে।

বিচারিক কার্যক্রমের প্রভাব বিস্তার

সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের প্রভাব।সামরিক শাসনামলে প্রদেশের বিভিন্ন জেলার প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের সরাসরি বিচারের জন্য সামরিক আদালত গঠন ক্ষমতা দর্পণ করা হয়। সামরিক আদেশে বলা হয় ম্যাজিস্ট্রেট রা ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান এর ৯০ থেকে ১২৬ নং বিধির সাথে প্রধান সাময়িক শাসনকর্তার নির্দেশিত বিধিতে বর্ণিত কার্যক্রম অনুসরণ এবং দন্ড বিধান করেন। প্রত্যক্ষ মামলার বিচার সমাপ্ত হওয়ার অবহিত করে  মামলা আদালত সমৃদ্ধের তন্ডদেশ কার্যকারী হত। 

এছাড়া প্রত্যেক মামলার বিবরণী পূর্ব পাকিস্তানের সাময়িক শাসনকর্তার নিকট পর্যালোচনা ও স্বাক্ষর কেন্দ্রের জনপ্রিয় করার কথা বলা হয়। উল্লেখ্য এ সময় পূর্ব পাকিস্তান ১৫ টি সংক্ষিপ্ত সময়ের আদালত গঠিত হয়। এসব আদালতের কার্যবিধি পুনরবিবেচনা ও স্বাক্ষরের জন্য সহ-সামরিক শাসনকর্তাদের নিকট প্রেরণের নির্দেশ ছিল। সামরিক কর্মকর্তা বৃন্দ  বেসামরিক আমলের বহু অন্যায়ের জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়ী করেন। তাই কর্মকর্তাদের উচ্চতর শ্রেণীভুক্ত জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিগণ বলে আখ্যায়িত করেন। বস্তুত সামরিক কর্মকর্তারা বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিশ্বাস করেন।

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রস্তাব ভিত্তিক সমৃদ্ধ

১৯৪৭ সালের সে সকল রাজনীতির নেতৃবৃন্দ ক্ষমতার অসীন হন তাদের সমর্থন ক্ষেত্র বা গ্রহণযোগ্যতা ছিল খুবই কম এর প্রধান কারণ ভারত বিভাগ অনেক নেতার মূল বাসস্থান ছিল ভারতের তাই ভারত বিভাগের হঠাৎ করে তারা তাদের নিজস্ব এলাকা সংরক্ষণের মৃত্যু হারিয়ে ফেলেন আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের সহায় তারা শক্তি দিচ্ছে অপূর্ব ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কোন সাধারণ নির্বাচনেরও সম্মুখীন গণপরিষদের সদস্যবৃন্দ ও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ছিলেন না দেশীয় বর্গ গণপরিষদে নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্যদের মনোনীত করতেন।

 গণপরিষদের জন্য সকল সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রাদেশিক আইন পরিশোধ কর্তৃক এবং প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্যগণ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এমন এক সময়ে তখন ভোট গণানার সংখ্যা 15% ভোটাধিকার ভোগ করতেন। এইসব কারণে রাজনীতির নেতৃবৃন্দ কোনদিন তাদের কর্তৃত্ব কে জনগণের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। তার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে ওঠেননি বিরোধী দলের ক্ষমতার মধ্যে এসব রাজনীতির নেতারা ক্ষমতার টিকে থাকার জন্য অবশেষে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে এক ধরনের মিত্রতা করেন। আর পরবর্তীকালে প্রশাসনের কর্মকর্তারাই রাজনীতির নেতাদের নির্দেশ দিয়ে থাকতেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাব বিস্তার

 সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র বিস্তার করা হয় লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুর পর গোলাম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রে বেসামরিক আমলাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯ ৫৩ সালের মার্চ মাসে কাদিয়ানি আন্দোলনের সময়। পাঞ্জাবে কেন্দ্রীয় সরকার  মন্ত্রীসভা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে বেসামরিক আদালতের প্রচেষ্টার সূচনা তখন থেকে। গোলাম মোহাম্মদ ১৯৫৪ সালের ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে আর মন্ত্রিসভা গঠন করলে পাকিস্তানে ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল শাসন পরিচালনা পুনর্জন্ম ঘটে।

আরোও পড়ুনঃ প্রকৃত ক্ষমতার প্রশাসনিক আদালতের হাতে নেস্ত হয়

প্রকৃত ক্ষমতার প্রশাসনিক আদালতের হাতে ন্যাস্থ হয় গোলাম মোহাম্মদ ও একজন আমলা ছিলেন। তিনি ভারতীয় অডিট এন্ড একাউন্ট সার্ভিসের সদস্য ছিলেন। ইস্কান্দার মীর্জা অভ্যন্তরীণ দেশীয় রাজ্য সীমান্ত অঞ্চল সম্পর্কিত দপ্তরের মন্ত্রী তিনি ছিলেন। ভারতীয় রাজনৈতিক সার্ভিসিং এর আইসি এর সদস্য চৌধুরী মোহাম্মদ আলী হয়েছিলেন অর্থ ও আর্থিক কার্যক্রম দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। তিনিও একজন আমলা ছিলেন। পাকিস্তানের সেক্রেটারি জেনারেল সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সাংগঠিত করেন। এভাবেই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন সাবেক আমলারা।

ঐতিহাসিক সামাজিক ক্ষেত্রের প্রভাব বিস্তার

সামরিক আমলাদের অধিকাংশই ছিলেন ভারতের উত্তর পশ্চিম অংশের অধিবাসী আর এ অংশ নিয়ে তাদের প্রভাব ও ক্ষমতা প্রয়োগের ইতিহাসের আকাশ চুক্তি হয়ে ওঠে। এই অঞ্চলে অনেক জমিদার ছিলেন। রাজনৈতিক তাদের দ্বারায় নিয়মিত হতো ক্ষমতার দ্বন্দ্ব অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমাধান লাভ করতে। রাজনীতিতে আলোচনা বা জনমতের প্রভাবে দ্বারা নয় চক্রান্তের মাধ্যমে চক্রান্ত আমাদের হাতে শক্তিশালী করতো। আর পরিণামে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছিল কর্মকর্তাদের হাতে তাহলে এই অঞ্চলে সামাজিক ক্ষেত্রে আমরা সব সময় অধিপত্যবিদ্যার সক্ষম হন পাকিস্তানের আমলাতন্ত্র প্রভাবশালী ছিল। 

সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের প্রভাব

যে দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে গণপরিষদে এর ভাষণে হোসেন শহীদ ছাড়ার দিন দুঃখ করে বলেছিলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে অনেক ভদ্রলোক অলংকৃত করেছেন সত্য কিন্তু প্রশাসক চক্রের খেয়াল খুশি মোতাবেক যদি এই পদের অধিকারী কে কান ধরে বের করে দেয়া হয়। তাহলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা খুব একটা সম্মানজনক ব্যাপার নয়। এক্ষেত্রে তিনি প্রশাসক চক্র বলতে পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের সম্মলিত জোটকে ইঙ্গিত করেছেন। তবে এ আমলাতন্ত্রের পরিণত যে দেশটির জন্যই খুব একটা সুখবর হয়নি। তার প্রমাণ পাওয়া যায় অভিমুক্ত পাকিস্তানের  দুবার সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হবার মধ্য দিয়ে।

অর্থনীতি সামাজিক ও সংস্কৃতিক বৈষম্য

১৯৪৭ সালের পূর্ব বাংলা পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান মেলে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়। দু অঞ্চলের জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার ভোগ করবে এ আশায় পাকিস্তানের জন্ম হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো অধ্যায় সৃষ্টির প্রথম থেকেই পাকিস্তানে শাসন গোষ্ঠী অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের মূলক আচরণ প্রদর্শন করতে থাকে।  এদিকে যেমন পশ্চিম পাকিস্তানের দ্রুত উন্নতির শিখরে  আরোহন করতে থাকে অন্যদিকে তেমনি পূর্ব পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী প্রাপ্য নেই অধিকার থেকে। সব সময় বঞ্চিত করে রেখেছে এই কারণে পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে এক  বিরাট আঞ্চলিক বৈষম্য দেখা দেয়।

অর্থনৈতিক বৈষম্যেই ছিল পূর্ব পাকিস্তানের দুর অবস্থা মূল কারণ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ট নিকট বৈষম্য একটি যে ছিল। যেমন উপন্যাস উপনিবেশক শোষণের মতো অন্যদিকে দুই অঞ্চল সামাজিক কাঠামোর ভিন্নতা একটা শ্রেণী শোষণের মতো 50 এর দশকের মাঝামাঝি থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন পূর্ব পাকিস্তানের পশ্চাদৎপদতা পাকিস্তান রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক ফল হিসেবে চিহ্নিত। দেখা যায় শাসন গোষ্ঠীর বিমাতামূলক আচরণ ও শোষণের ফলে পাকিস্তান সৃষ্টির অল্প দিনের মধ্যেই পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পূর্বতম বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।

অর্থনৈতিক কাঠামো গত বৈষম্য

সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র প্রভাবপশ্চিম পাকিস্তানের দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৬%  জনগোষ্ঠী বাস করত। সেখানে জাতীয় সম্পর্কের ৭৫ % বরাদ্দ করার ফলে অঞ্চলে একদিকে যেমন আয় বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে তেমনি কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পায় হলে তা বেসরকারি নিয়োগের অনুকূল পরিবেশে সৃষ্টি করে। যুক্তরাষ্ট্রীয় বায়ের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তান স্থাপিত হয় নানাবিদ অর্থনৈতিক অবকাঠামো ব্যাংক বীমা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় সামরিক বিমান কোন বীমা নৌবাহিনী সদর দপ্তর বিদেশি মিশনের প্রধান কার্যালয় প্রযুক্তি পশ্চিম পাকিস্তানে স্থাপিত হয়েছিল। এই এভাবেই পশ্চিম পাকিস্তান অবকাঠামোগত সুবিধা লাভের ফলে দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য করা হয়েছিল।

সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের প্রভাব

উনিশশ পঞ্চাশ এর দশকে পুরো পাকিস্তান অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল। মোট বিভাগের চতুষ্প পার্সেন্ট থেকে ২৬% ১৯৬০ এর দশকে তা জানাই ৩২%  খেতে ৩৬ শতাংশ অন্যদিকে রাজস্ব উন্নয়ন খাত মেলে পশ্চিম পাকিস্তানে বিনিয়োগ করা হয়। প্রথম দশকে ৭৪% থেকে ৭৯%  এবং দ্বিতীয় দশকে ৬৬% থেকে ৬৮%  কোথায় বন্ধন বার্ষিক পরিকল্পনায় সর্বমোট ১১৬০ কোটি টাকার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ ছিল মাত্র 28% সর্বমোট ২৫৪ কোটি টাকা কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের করা হয় ৮ ৯৮ কোটি টাকা একইভাবে সময়কালে পশ্চিমে তুলনায় পূর্ব পাকিস্তানের।

আঞ্চলিক বিনিয়োগের পরিমাণ

সামরিক ও বেসামারি আমলাতন্ত্রের প্রভাব আঞ্চলিক বিনিয়োগের  বিনিয়োগের পরিমাণ হিসেবে ছিল পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের কিন্তু বাস্তবের অপেক্ষায় জনগণের মাথাপিছু আয় এর মধ্যে পার্থক্য ছিল আরোও বেশি১৯৬৪-৬৫ পাকিস্তানের জনগণের মাথাপিছু গড় আয় বৈষম্য ছিল ৩৮.১%। ১৯৭০ থেকে ৭০ সালে সমগ্র পাকিস্তানে ছিল ৪২৪ টাকা পূর্ব পাকিস্তানের ছিল ৩৩১ টাকা আর পশ্চিম পাকিস্তানের ছিল ৫৩৭ টাকা দুই অংশের মধ্যে মাথাপিছু আয় পার্থক্য ছিল ৬০২ টাকা বৈষম্য বেড়ে বাড়ায় ৪৭.১% এ। অবস্থানের উভয় অংশের মধ্যে অর্থ ধরনের বৈষম্য লক্ষণীয় ১৯৪৭ থেকে ৫৫ সময়কালে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার যে অর্থ ব্যয় করেন তার প্রায় ৯০% ব্যয় করা হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের উক্ত সময়ে পুরো পাকিস্তান থেকে রাজস্ব আয় হয়১৬৮১ মিলিয়ন টাকা কিন্তু এই অর্থের মধ্যে মাত্র ৪২৭ মিলিয়ন টাকা সেখানে ব্যয় করা হয়। 

উন্নয়ন খাতে মাথাপিছু আয় পরিকল্পনা ছিল বৈষম্যমূলক প্রথম পঞ্চবার্ষিক ও পরিকল্পনার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ১২৫ টাকা। এবং পশ্চিম পাকিস্তানের ২২০ টাকা ব্যয় করা হয় এ ধরনের উদ্দেশ্য ছিল পুরো পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনাকে অবশ্যম্ভাবীভাবে হ্রাস করা, যা আঞ্চলিক বৈষম্যকে বাড়ানো করে বিভিন্ন তথ্য থেকে দেখা যায়। যে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কার্যকালে পূর্ব পাকিস্তানের উন্নয়নের মাথাপিছু আয় এর পরিমাণ ছিল। পূর্বপুরিকল্পিত বা এইরকম হইছে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ৮০ টাকা অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানের ছিল ২০৫ টাকা। অর্থাৎ দেশের মধ্যে কেউ বেশি পাকিস্তানের প্রথম ও দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গৃহীত।

হস্তশিল্প বিকাশের প্রতিবন্ধকতা নিরূপণ

দেশ বিভাগের ফলে মারাত্মকভাবে গ্রস্ত হয় বাংলার হস্তশিল্পের সর্বাপেক্ষা বিকাশ তাতশিল্পী। ১৯৪৭ সালে এখানে হত্যা তাইতো তাদের সংখ্যা ছিল যেখানে ২৫০ হাজার ১৯ ৫১ সালে তা কমে ১৮৩ হাজার এ এসে দাঁড়ায় পুরো পাকিস্তানের বস্ত্র কল গুলোর মধ্যে হস্তচারিত তার শিল্পতলা সুতার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে। জন্মের পর থেকে পূর্ব বাংলার বস্তু শিল্পের বিকাশ নির্ধারিত হতে থাকে। পশ্চিম পাকিস্তানি শিল্পী উপস্থাপনার সার্থর রক্ষা করে। 

আরোও পড়ুনঃ উন্নত খাতে মাথা পিছু আয় ছিল বৈষম্যমূলক

এবং পুরো অবস্থানকে তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারে পরিণত করার মধ্য দিয়ে ষাটের দশকের সেই দিকে এরপথে পশ্চিম পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তানের তুলনায় প্রতিবছর দুই গুণ বেশি মালামাল পরিবহন করা হতো। আবার পূর্ব পাকিস্তানের ছিল ১০,৬০৯ মাইল দশকের প্রাদেশিক উৎপাদনে যোগাযোগ অবদানের বার্ষিক গর্ভে আর পশ্চিম পাকিস্তান ছিল ১১.২%,। আর পূর্ব পাকিস্তানের তুলনায় ৩.৩৭%।ষাটের দশকের  দ্বিতীয় অর্থ মোটকা বেশি উৎপাদন খাতে জমা হয়েছিল।

লেখকের শেষ কথাঃ বৈদেশিক সাহায্য বন্টনের বৈষম্য

সামরিক ও বেসরকারিক আমলান্ত্রের প্রভাব বিস্তার বৈদেশিক সাহায্য এবং ঋ ণ বরাদ্দের ক্ষেত্রে ও বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করা হয় ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ৭৬ ৪০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বৈদেশিক সাহায্যে প্রতিশ্রুতি পায় উন্নয়ন পণ্য কারিগরি সাহায্যের আওতায় এসব সাহায্যের অধিকাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানের।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url